মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
মো. সুজন মোল্লা,বানারীপাড়া: জীবনের শুরু হবে যেখান থেকে,অ,আ শিখতে গিয়ে হাতেখঁড়ির প্রাম্ভেই কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের সেখানেই আতঙ্কে করতে হচ্ছে ক্লাস। একবার “অ আ” উচ্চারণ করে আরেকবার ওপরের দিকে তাকাতে হয় তাদের।
কখনও আবার শরীরের ওপরে ছাদের পলেস্তরার বালু খসে খসে পড়ে শিশু শিক্ষার্থীদের পরীধিয় পেষাক নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় তাদেরকে ক্লাস করতে হচ্ছে অনেকটা অসহায় অবস্থায়।
এই অসহায় অবস্থার মধ্যেই বিদ্যালয়ে থাকাকালীন পুরো সময়ই শিক্ষার্থীরা থাকেন চরম আতঙ্কের মধ্যে। অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে থাকেন হতাশায় মধ্যে। না জানি কখন কি হয় নারীছেরা ধনদের।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার শের-ই-বাংলার স্মৃতি বিজরিত চাখার ইউনিয়নের ৩৮নং বড় চাউলাকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান চিত্র এমনটাই। দপ্তরি সাধন চন্দ্র শীল জানান,মঙ্গলবার (২০আগস্ট) সকালে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণী কক্ষ খুলতেই বড় আকারে ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে।
তবে ওই সময়ে কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ার ফলে কোন রকম হতাহত হয়নি। বিদ্যালয় চলাকালিন সময় এমন ঘটনা হলে শিক্ষার্থীদের মারাত্বক আহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গির আলম বলেন,প্রায় ২ বছর পর্যন্ত তার বিদ্যালয়ের লাইব্রেরীসহ ৩টি শ্রেণী কক্ষ মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ। যা ইতিপূর্বে বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল লতিফ মজুমদার,বানারীপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ,এটিও মো. আসাদুজ্জামানের কাছে লিখিত এবং মৌখিকভাবে বহুবার জানানো হয়েছে। আজও তার কোন প্রতিকারের ছাঁপ বিদ্যালয়টিতে পরেনি।
এদিকে তিনি আরও জানান, চলতি বর্ষা মৌসূমে বিদ্যালয়ের মাঠে হাটু সমান পানি জমে যায়। দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা ও ক্লাস চলাকালীন সময় শিক্ষার্থীদের ওই পানি পেড়িয়ে অনেক কষ্ঠে বিদ্যালয়ে যেতে ও আসতে হচ্ছে। তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিদ্যালয়ের এই করুণ চিত্রের পরিবর্তণ’র আহবান জানিয়েছেন।
Leave a Reply